Table of Contents
Toggleআখেরি চাহার সোম্বা ২০২৪: তারিখ, অর্থ, আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি
আখেরি চাহার সোম্বা ২০২৪ সালে ৪ সেপ্টেম্বর পালিত হবে। এটি হিজরি বর্ষপঞ্জির সফর মাসের শেষ বুধবার, যা মুসলিম সমাজে বিশেষ প্রার্থনা এবং ইবাদতের মাধ্যমে পালন করা হয়। এই দিনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সুস্থতা লাভের স্মরণে দোয়া, নফল নামাজ এবং দান-খয়রাত করা হয়।
আখেরি চাহার সোম্বা, আখেরি চাহার সোম্বা কি, আখেরি চাহার শোম্বা, আখেরি চাহার সোম্বা কি, আখেরি চাহার সোম্বা মানে কি, আখেরি চাহার সোম্বা অর্থ কি, আখেরি চাহার সোম্বা কি?, আখেরি চাহার সোম্বা কী
আখেরি চাহার সোম্বা হল ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির সফর মাসের শেষ বুধবার পালিত হয়। এই দিনটি মুসলিম সমাজে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয় কারণ এটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর একটি স্মৃতিস্বরূপ দিন। হাদিস অনুযায়ী, এই দিনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অসুস্থ অবস্থায় থেকে সুস্থতা লাভ করেছিলেন।
মুসলিম সমাজে এই দিনটি প্রার্থনা, দান-খয়রাত, এবং বিভিন্ন নফল ইবাদত দ্বারা পালন করা হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই দিনটি বারাকাতপূর্ণ এবং সুস্থতা ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করলে আল্লাহ্ তা কবুল করেন। মুসলমানরা এই দিনটিতে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন এবং আল্লাহ্র কাছে নিজেদের ও পরিবারের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করেন।
এই দিনটি পালনের প্রথা অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সাধারণত এটি দোয়া এবং প্রার্থনার মাধ্যমে পালিত হয়।
আখেরি চাহার সোম্বা ২০২৪, আখেরি চাহার সোম্বা 2024, আখেরি চাহার সোম্বা কত তারিখ
২০২৪ সালে আখেরি চাহার সোম্বা পালিত হবে ৪ সেপ্টেম্বর তারিখে। এই তারিখটি হিজরি বর্ষপঞ্জির সফর মাসের শেষ বুধবারের সঙ্গে মিলে যায়। দিনটি মুসলিম সমাজে বিশেষ প্রার্থনা এবং ইবাদতের মাধ্যমে পালন করা হয়।
আখেরি চাহার সোম্বা কি সরকারি ছুটি
বাংলাদেশে আখেরি চাহার সোম্বা সাধারণত সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। এটি একটি ধর্মীয় দিন হিসেবে কিছু মুসলিম পরিবার এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষভাবে পালন করা হয়, তবে এটি দেশের সরকারি ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। তাই এই দিনে সাধারণত অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং অন্যান্য কর্মস্থল ছুটি থাকে।
আখেরি চাহার সোম্বার আঞ্চলিক প্রচলন ও প্রথাগুলি কী কী
আখেরি চাহার সোম্বার (আখেরি চার শোম্বা) হচ্ছে ইসলামিক ক্যালেন্ডারের সফর মাসের শেষ বুধবার উদযাপিত একটি দিন, যা প্রধাণত মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পালিত হয়। এই দিনটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুস্থতা প্রার্থনা করে উদযাপন করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চলে আখেরি চাহার সোম্বার উদযাপনের বিভিন্ন রীতি ও প্রথা রয়েছে। নিচে কিছু আঞ্চলিক প্রচলন ও প্রথার কথা উল্লেখ করা হলো:
১. প্রার্থনা ও দোয়া: আখেরি চাহার সোম্বার দিন সকালে মুসলমানরা মসজিদে গিয়ে বিশেষ প্রার্থনা ও দোয়া করে থাকেন। এ সময় মহানবী (সা.)-এর সুস্থতা ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও, ব্যক্তিগত জীবনের মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়।
২. রোজা পালন: অনেক মুসলমান এই দিনে রোজা রাখেন। এটি বিশ্বাস করা হয় যে আখেরি চাহার সোম্বার দিনে রোজা রাখা শুভ ও বরকতময়। রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা হয়।
৩. খাবার বিতরণ: আখেরি চাহার সোম্বার উপলক্ষে অনেক মুসলমান পরিবার গরীব ও অভাবীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করে থাকেন। বিশেষ করে, রুটি, পোলাও, মিষ্টি ও অন্যান্য খাবার বিতরণ করা হয়।
৪. দরুদ পাঠ: এই দিনটিতে বিশেষভাবে দরুদ শরীফ পাঠ করা হয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে দরুদ শরীফ পাঠ করলে মহানবী (সা.)-এর ওপর শান্তি বর্ষিত হয় এবং এটি তাদের জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
৫. পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত: অনেক মুসলমান আখেরি চাহার সোম্বার দিনে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করে থাকেন। এটি তাদের আত্মার প্রশান্তি ও আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়।
৬. মীলাদ ও ধর্মীয় আলোচনা: কিছু অঞ্চলে আখেরি চাহার সোম্বার উপলক্ষে মীলাদ মাহফিল ও ধর্মীয় আলোচনা আয়োজন করা হয়। এতে মহানবী (সা.)-এর জীবনী, তাঁর সুন্নাহ এবং শিক্ষার ওপর আলোচনা করা হয়।
এই প্রথাগুলি আঞ্চলিক ভিন্নতা অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হতে পারে, তবে মূলত আখেরি চাহার সোম্বার দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে উদযাপিত হয়।