Table of Contents
Toggleআন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস: বাংলায় Interesting সবকিছু জানিয়েনেন 2024
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস, বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস, সাক্ষরতা দিবস
এটি একটি আন্তর্জাতিক দিবস যা শিক্ষার গুরুত্ব এবং সাক্ষরতার সুবিধাগুলি প্রচার করার জন্য উদযাপিত হয়। ১৯৬৫ সালে ইউনেস্কোর উদ্যোগে প্রথম এই দিবসটি উদযাপিত হয়। এই দিনে, বিভিন্ন দেশের সরকার এবং সংস্থাগুলি শিক্ষার উন্নতি এবং সাক্ষরতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রোগ্রামের আয়োজন করে।
সামাজিক সংহতি, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং শান্তি বাড়াতে সাক্ষরতার রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জ্ঞানীয়, শিক্ষাগত, এবং আর্থ-সামাজিক সুবিধার সাথে, সাক্ষরতার বহুভাষিক পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন-বিশেষ করে আজকের বহুভাষিক বিশ্বে- অত্যন্ত সুবিধাজনক বলে প্রমাণিত হয়।
এই পদ্ধতিটি শুধুমাত্র গোষ্ঠীর পরিচয় এবং সম্মিলিত ইতিহাসকে শক্তিশালী করে না বরং বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সম্মান ও বোঝাপড়াও বাড়ায়। দীর্ঘস্থায়ী শান্তি উন্নীত করার জন্য, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস বহুভাষিক প্রেক্ষাপটে সাক্ষরতার সাথে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলির উপর ফোকাস করবে এবং নীতি, প্রোগ্রাম, শাসন এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সমাধানগুলি অন্বেষণ করবে। ILD 2024 স্থানীয়ভাবে, জাতীয়ভাবে, আঞ্চলিকভাবে এবং বিশ্বব্যাপী, ব্যক্তিগতভাবে এবং কার্যত উভয়ভাবেই পালন করা হবে।
গ্লোবাল ইভেন্টটি ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে ক্যামেরুনের ইয়াউন্ডেতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কারের প্রদান অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি, ইউনেস্কো গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ লার্নিং সিটিস মিটিং, লাইফলং লার্নিং (GAL) কাঠামোর আওতায় সাক্ষরতার গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের বার্ষিক সভা এবং সাক্ষরতা ও বিকল্প শিক্ষা (RAMAED) পরিমাপের অ্যাকশন রিসার্চ সেশনও অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হল
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হলো একটি আন্তর্জাতিক দিবস যা প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর উদযাপিত হয়। এটি শিক্ষার অধিকার এবং সাক্ষরতার উন্নতির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস কেন পালিত হয়
দেশের উন্নয়নের জন্য নাগরিকদের সাক্ষর হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাক্ষরতা শুধুমাত্র একটি অগ্রগতির চিহ্ন নয়, বরং এটি উন্নয়নের একটি মূল কারণও। একজন সাক্ষর ব্যক্তির মূল বৈশিষ্ট্য হলো পড়তে এবং লিখতে সক্ষমতা। যিনি ‘ক, খ, গ’ জানেন, ভাষার প্রতি সম্মান রাখেন এবং সঠিক ও বেঠিকের পার্থক্য বোঝেন, তিনিই একজন সাক্ষর।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়, যার লক্ষ্য হলো মানুষের মধ্যে সাক্ষরতার গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং তাদের শিক্ষা গ্রহণের প্রতি উৎসাহিত করা।
সাক্ষরতা দিবস কবে, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৪, বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস ২০২৪, বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস কবে পালন করা হয়, কোন তারিখে বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস কবে
বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস ৮ সেপ্টেম্বর পালন করা হয়। এটি সাক্ষরতার উন্নয়ন এবং শিক্ষার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য উদযাপিত হয়।
ভারতের সাক্ষরতার হার রাজ্যভিত্তিক:
রাজ্য | বছর | পুরুষের সাক্ষরতার হার (%) | মহিলার সাক্ষরতার হার (%) |
মহারাষ্ট্র | ২০১১ | ৮৮.৪ | ৭৮.৯ |
গুজরাট | ২০১১ | ৮৮.০ | ৭০.৭ |
রাজস্থান | ২০১১ | ৮২.৬ | ৫৬.৪ |
মধ্যপ্রদেশ | ২০১১ | ৮১.৭ | ৫৭.০ |
উত্তর প্রদেশ | ২০১১ | ৮০.৫ | ৫২.২ |
বিহার | ২০১১ | ৬৭.১ | ৪৭.০ |
ওড়িশা | ২০১১ | ৮৩.৩ | ৬৯.৮ |
পশ্চিমবঙ্গ | ২০১১ | ৮৭.১ | ৭৭.১ |
কর্ণাটক | ২০১১ | ৮৮.৭ | ৬৮.৭ |
তামিলনাড়ু | ২০১১ | ৮৪.৫ | ৬৮.৭ |
আন্ধ্রপ্রদেশ | ২০১১ | ৭৬.৯ | ৫৯.১ |
তেলেঙ্গানা | ২০১১ | ৮৩.৪ | ৬৩.৫ |
হিমাচল প্রদেশ | ২০১১ | ৮৯.৫ | ৭৪.০ |
পঞ্জাব | ২০১১ | ৮৫.৮ | ৬৯.৭ |
হরিয়ানা | ২০১১ | ৮১.১ | ৫৬.৩ |
জম্মু ও কাশ্মীর | ২০১১ | ৮৫.৮ | ৬৩.৯ |
লাদাখ | ২০১১ | ৮৯.৭ | ৬৯.১ |
সিকিম | ২০১১ | ৮৭.৭ | ৭৫.৮ |
মেঘালয় | ২০১১ | ৭৮.৮ | ৭৫.০ |
নাগাল্যান্ড | ২০১১ | ৮৭.৮ | ৭৫.৮ |
মণিপুর | ২০১১ | ৮২.০ | ৬৮.৮ |
মিজোরাম | ২০১১ | ৯০.৭ | ৮৮.০ |
ত্রিপুরা | ২০১১ | ৮৩.৩ | ৭৬.৯ |
আসাম | ২০১১ | ৮১.২ | ৬৯.৭ |
পুদুচেরি | ২০১১ | ৮৭.১ | ৮০.৫ |
চণ্ডীগড় | ২০১১ | ৮৯.৮ | ৭৫.০ |
কেরালা | ২০১১ | ৯২.২ | ৮৮.০ |
বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে পুরুষদের সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৫% এবং মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৭১%। গত দশকগুলোতে শিক্ষা খাতে উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন লক্ষ্যণীয়।
আমরা যদি ভাবি, প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, বেতার ও টেলিভিশন শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম, এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প কীভাবে ভূমিকা রেখেছে, তা পরিষ্কার হবে। উদাহরণস্বরূপ, সরকারী প্রকল্প ‘শিশু শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প’ দেশে শত শত নতুন বিদ্যালয় খুলেছে এবং শিক্ষার সুযোগ বাড়িয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোগ যেমন ‘সাক্ষরতা অভিযান’ প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে, যা শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি স্বাবলম্বিতার ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছে।
এই প্রকল্পগুলো সত্যিই উল্লেখযোগ্য ফলাফল এনে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে, সাক্ষরতার হার প্রায় ১০% বেড়েছে। তবে, উন্নতি এখনও প্রয়োজন, বিশেষ করে নারী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে।
প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে আমি নিজেও দেখেছি, শিক্ষা কীভাবে মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। এসব উদ্যোগ না থাকলে হয়তো আমরা আজকের উচ্চ সাক্ষরতার হার অর্জন করতে পারতাম না। শিক্ষার প্রসার এবং পঠনপাঠনের উন্নয়নের জন্য এগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা যায়।
পশ্চিমবঙ্গের সাক্ষরতার হার
পশ্চিমবঙ্গের সাক্ষরতার হার নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, রাজ্যের পুরুষদের সাক্ষরতার হার ছিল ৮৭.১% এবং মহিলাদের সাক্ষরতার হার ছিল ৭৭.১%। এই সংখ্যা আমাদের রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির একটি সুস্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
রাজ্যের শিক্ষা খাতের অগ্রগতির জন্য আমি যখন নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ভাবি, তখন মনে হয়, বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ এবং প্রকল্পের কারণে এমন উন্নতি সম্ভব হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমবঙ্গে ‘সারা বাংলা শিক্ষা মিশন’ এবং ‘মিড-ডে মিল’ প্রকল্পগুলি শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলো শুধুমাত্র শিক্ষার জন্য নয়, বরং ছাত্রদের সার্বিক বিকাশের জন্যও সহায়ক।
এছাড়া, শিক্ষা প্রযুক্তির ব্যবহারও উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করছে। সম্প্রতি রাজ্যের অনেক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লার্নিং টুলস ব্যবহৃত হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের শিখতে সহায়ক হচ্ছে। যেমন, ‘e-learning’ প্ল্যাটফর্ম এবং ‘smart classrooms’ এখনকার শিক্ষার অঙ্গ হয়ে উঠেছে। আমি নিজে যখন ‘smart board’ ব্যবহার করেছি, তখন দেখেছি, এটি কিভাবে পাঠদানকে আরও মজাদার এবং কার্যকরী করে তোলে।
তবে, এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এবং মফস্বল অঞ্চলে শিক্ষা পৌঁছানো এখনও একটি বড় কাজ। এই ক্ষেত্রে আরও পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। যেমন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন, এবং শিক্ষামূলক উপকরণের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি।
সার্বিকভাবে, পশ্চিমবঙ্গের সাক্ষরতার হার অবশ্যই প্রশংসনীয়, কিন্তু উন্নতি চলমান প্রক্রিয়া। আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা আধুনিক প্রযুক্তি এবং আরও কার্যকরী প্রকল্পের দিকে নজর দিই, তাহলে আমরা আরও ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারব।