" "

Dream BPT

আশুরা 2024

আশুরা কি, আশুরা নামের অর্থ কি

আশুরা নামের অর্থ হলো “দশম”। এটি আরবি শব্দ “আশারা” থেকে এসেছে, যার অর্থ “দশ”।  প্রতি বছর হিজরী ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস মহরমের 10 দিনে আশুরা উদযাপিত করা হয়। ইসলামের ইতিহাসে এই দিনটির একটা বিশেষ গুরুত্ব আসে। এটা মূলত শিয়া মুসলমানদের কাছে একটা অনেক বড় ও স্মরণীয় দিন, কারণ এই দিনে ইমাম হুসাইন এবং তাঁর সঙ্গীরা কারবালার যুদ্ধে শহীদ হন।

এছাড়া সুন্নি মুসলমানদের মাজেও এই দিনটা স্মরণীয়, কারণ এই দিনে হজরত মুসা ও তাঁর অনুসারীরা ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভ করেন বলে মানা হয়।

আশুরা কবে 2024, আশুরা কত তারিখে 2024, আশুরা কবে

আশুরা 2024

আশুরা 2024 সালে 16 জুলাই সন্ধ্যা শুরু হবে, এবং 17 জুলাই 2024 শেষ হবে। এই দিনটি হলো ইসলামিক ক্যালেন্ডারের মুহরম মাসের 10ম দিন।

আশুরা কেন পালিত হয়

আশুরা টি কারবালার যুদ্ধে হুসাইন ইবনে আলী এর শাহাদাতের স্মরণে পালিত হয়। যিনি ছিলেন মহানবী মোহাম্মদ সা: এর নাতি। এবং এই দিন সুন্নি মুসলমানদের জন্য একটি স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিন যখন মুসা আঃ এবং বনী ইসরাইল ফেরাউনের অত্যাচার মুক্তি লাভ করে।

আশুরার ফজিলত

আশুরা
আশুরার ফজিলত
1. রোজা রাখা:
রোজা রাখার এক বিশেষ ফজিলত রয়েছে আশুরার দিন। আশুরার দিন রোজা রাখলে বা করলে বিগত 1 বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
 
2. নফল নামাজ:
এই দিনে বিভিন্ন নফল ইবাদত যেমন নামাজ বা অন্য কিছু তিলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত করা যায়, এই দিনের যেকোনো ভালো কাজ বা ইবাদত আল্লাহের কাছে প্রিয় বলে পরিচিত হয়।
 
এছাড়াও অনেক গুলো ভালো ভালো কাজ করা দেখা যায় মুসলমান সমাজের মানুষরা। কারণ এই দিন যেগুলি ভালো কাজ বা ইবাদত করবেন এটা আল্লাহর কাছে অতি সহজে গ্রহণ হয়ে যায়। তাই মানুষরা সারা রাত ইবাদত করে আল্লাহর জন্য।
 
3. দান খয়রাত:
আশুরার দিনে গরিব মানুষ এবং সমাজের যেকোনো ভালো কাজে দান- খয়রাত বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। সব মুসলমান মানুষ এই দিনে সাহায্য করে, যা আল্লাহের কাছে অনেক বেসি গ্রহনযোগ্য।
 
বিশ্বের সব মুসলমানের জন্য অনেক স্মরণীয় ও সন্মানীয় দিন হলো আশুরা। এই দিনটি হলো ত্যাগ, সমানতা, সরলতা, সহায়তা এবং আল্লাহের প্রতি বিশ্বাসের প্রতীকের  এক দিন। মুসলমানরা তাদের ইমান ও আখলাক উন্নত করতে পারে ও আল্লাহের নিকট থেকে বিশেষ বরকত ও ক্ষমা লাভ করতে পারে।

আশুরার দিনের ঘটনা, আশুরার দিনে যা যা ঘটেছিলো

আশুরার দিন হলো সেই দিন যে দিনে ইসলামের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিলো, তারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিম্নতে দেয়া হয়েছে:
 
1. কারবালার যুদ্ধ:
61 হিজরী (680 খিষ্টাব্দে) মহরমের 10ম দিনে বা আশুরার দিনে ইরাকের কারবালা নামক স্থানে ইমাম হুসাইন এর তার পরিবারের সদস্য এবং সঙ্গীরা উমাইয়া শাসক ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার বাহিনীর কাছে অতিসহজে শহীদ হন। এই ঘটনা শিয়া মুসলমান মানুষের কাছে অনেক বেসি স্মরণীয়।
 
2. মুসা (আঃ) এবং বনী ইসলামের মুক্তি:
ইসলামদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আশুরার দিন আল্লাহ মুসা (আঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দেন। এই ঘটনাটি বনী ইসরাইলের মুক্তি হিসাবে পালিত হয়।
 
3. নূহ (আঃ) এর নৌকা ভূমিতে অবস্থান:
ইসলামী বিশ্বাস মতে, আশুরার দিন নূহ (আঃ) এর নৌকা মহাপ্লাবনের পর ভূমিতে অবস্থান করে।
 
4. ইউনুস (আঃ) এর মুক্তি:
ইসলামী ইতিহাস অনুযায়ী, আশুরার দিনে ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান।

আশুরার তাৎপয্য

আশুরা, ইসলামিক বছরের প্রথম মাস মহরমের দশম দিনে, সারা পৃথিবীর ইসলামের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটার তাৎপয্য সম্পর্কে নিম্নতে কিছূ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে:

আশুরার তাৎপয্য:

  1. কারবালার যুদ্ধ:

আশুরার দিনেই ই ইমাম হুসাইন (রাঃ) ও তার সঙ্গীরা কারবালার যুদ্ধে শহীদ হন। ইমাম হুসাইন (রাঃ) ইসলামের সত্য এবং জয়ের জন্য জীবন অর্পণ করেন, যা মুসলমান মানুষের কাছে এক মহান আত্মত্যাগের চীন।

  1. মুসা (আঃ) এর মুক্তি:

ইসলামী বিশ্বাস মতে, হযরত মুসা (আঃ) ও তার সঙ্গীরা ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভ করেন। এই ঘটনাটি আল্লাহর করু বে দেখা হয় ও এটি মুসলমানদের ভাবে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top