" "

Dream BPT

Table of Contents

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস: Interesting সবকিছু এবং দাঙ্গার ইতিহাস pdf

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা প্রবন্ধ রচনা pdf (পিডিএফ) ডাউনলোড লিঙ্ক পোস্টের শেষে উপলব্ধ আছে।

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস, প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস কি, প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস বলতে কী বোঝো, কলকাতা দাঙ্গা, প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস 2024

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস (Direct Action Day) হল একটি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় আন্দোলনের দিন, যা ১৬ আগস্ট ১৯৪৬ সালে ঘটে। এই দিনটি ভারতীয় মুসলিম লীগের নেতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ ঘোষণা করেছিলেন, মুসলিমদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে। এই ঘোষণার ফলে কলকাতায় একটি বিশাল দাঙ্গা শুরু হয়, যা ব্যাপক হিংসা এবং প্রাণহানির কারণ হয়। এই ঘটনাটি ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা পরবর্তীতে ভারত এবং পাকিস্তানের বিভাজনের পথ সুগম করে।

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস কবে পালিত হয়

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস ১৬ আগস্ট, ১৯৪৬ সালে পালিত হয়েছিল।

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস ঘোষণা করে কে

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস ঘোষণা করেছিলেন মুসলিম লীগের নেতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ।

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস কবে পালিত হয়েছিল

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস ১৬ আগস্ট, ১৯৪৬ সালে পালিত হয়েছিল।

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস: ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্টের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট ব্রিটিশ শাসন ও অনুমিত বর্ণহিন্দু আধিপত্য থেকে মুক্তির লক্ষ্যে মুসলিম লীগের আহুত হরতাল ছিল। মুসলিম লীগ কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও কংগ্রেস তা প্রত্যাখ্যান করে, যার ফলে মুসলিম লীগ রাজনৈতিকভাবে সংকটে পড়ে। কেবিনেট মিশনের ব্যর্থতাকে মুসলিম লীগ ব্রিটিশ বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে অভিহিত করে এবং পাকিস্তান অর্জনের জন্য ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম কার্যসূচি’ চালু করার ডাক দেয় মোহম্মদ আলী জিন্নাহ। ১৯৪৬ সালের ২৭-২৯ জুলাই মুসলিম লীগের কাউন্সিল সভায় এই প্রস্তাব গৃহীত হয়।
এ প্রস্তাব গ্রহণের পর, মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটি ১৬ আগস্টকে ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং ওই দিন ভারতের সমস্ত প্রদেশে ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বন্ধ রাখা ও পূর্ণ হরতাল পালনের নির্দেশ জারি করা হয়। বাংলার পুনর্গঠিত মুসলিম লীগ নেতা এবং প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অনুভব করেন যে, বাংলায় দিবসটি জঙ্গি মেজাজে পালিত হওয়া উচিত। দিবসটি সফল করতে তাঁর ব্যাপক প্রস্ত্ততির ফলে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়, যা সম্ভবত তিনি চাননি। পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। কলকাতার একটি বৃহৎ অংশ কয়েকদিন ধরে আগুনে জ্বলতে থাকে। কলকাতার দাঙ্গা অচিরেই অন্যান্য অঞ্চলে, বিশেষ করে বিহার ও নোয়াখালী জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতার দাঙ্গা উভয় পক্ষের জন্য ক্ষতিকর হলেও, অন্যান্য অঞ্চলে এটি একতরফা হয়ে দাঁড়ায়। বিহারে প্রায় একপেশেভাবে মুসলমানরা এবং নোয়াখালীতে হিন্দুরা প্রাণ হারায়। সামগ্রিকভাবে, কলকাতার দাঙ্গায় মুসলমানদের মধ্যে প্রাণহানি অনেক বেশি হয়। প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ফলস্বরূপ ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় এবং যুক্তবাংলার অস্তিত্ব চিরকাল স্থির হয়ে যায়। বাংলা বিভাজন অনিবার্য হয়ে পড়ে।

কবে কারা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস এর ডাক দেয়, কে কবে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস এর ডাক দেন, কবে কারা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দেন, কবে কারা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দেয়, কবে কারা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস এর ডাক দেন, কে কবে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দেন, প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দেন

মুসলিম লীগ ১৬ আগস্ট, ১৯৪৬ সালে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দেয়। মুসলিম লীগের নেতা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ এই দিনের ডাক দেন, মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে।

মুসলিম লীগ প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস

মুসলিম লীগের প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস (Direct Action Day) ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্টে পালিত হয়। এই দিনটি ভারত উপমহাদেশে মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানিয়ে মুসলিম লীগ কর্তৃক আহ্বান করা হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগ এই দিনটি পালনের আহ্বান জানায়, যার ফলে কলকাতায় ব্যাপক দাঙ্গা শুরু হয়, যা ‘কলকাতার মহা হিংসা’ নামে পরিচিত।
প্রেক্ষাপট: ১৯৪৬ সালের দিকে, ভারত স্বাধীনতার কাছাকাছি ছিল, এবং ব্রিটিশরা ভারতকে দুটি অংশে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—একটি হিন্দু অধ্যুষিত ভারত এবং একটি মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তান। মুসলিম লীগ মনে করেছিল যে তাদের দাবি না মানা হলে তারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে।
পরিণতি: প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের পর ব্যাপক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। শুধু কলকাতা নয়, নোয়াখালী, বিহার ও অন্যান্য স্থানে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয় এবং লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।

কলকাতায় প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস

কলকাতায় ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট পালিত প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস (Direct Action Day) ছিল ভারতের ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগ এই দিনটিকে মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দাবিতে ‘লড়াইয়ের দিন’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এর ফলে কলকাতায় যে ভয়াবহ দাঙ্গা এবং হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে, তা ‘কলকাতার মহা হিংসা’ (Great Calcutta Killings) নামে পরিচিত।
প্রেক্ষাপট: ১৯৪৬ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ভারতকে কিভাবে শাসিত করা হবে এবং ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন হবে কিনা, তা নিয়ে তীব্র মতবিরোধ ছিল। মুসলিম লীগ তখন দাবি করেছিল, তাদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই দাবি আদায়ে তারা ১৬ আগস্টকে ধর্মঘট ও প্রতিরোধের দিন হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
ঘটনার বিবরণ: প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের দিন কলকাতায় মুসলিম লীগ সমর্থকরা একটি বিশাল জনসভা ও মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যে কলকাতায় ব্যাপক হিংসা, লুটপাট, এবং হত্যাকাণ্ড ঘটে।
হিংসার ফলাফল:
  • মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি: চার দিন ধরে চলা এই দাঙ্গায় প্রায় ৪,০০০ মানুষ নিহত হয় এবং আরও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়, দোকানপাট লুটপাট করা হয়, এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
  • সম্পর্কের অবনতি: এই ঘটনার ফলে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস ইতিহাস, দাঙ্গার ইতিহাস

প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের (Direct Action Day) ইতিহাস ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্টের সাথে সম্পর্কিত। এই দিনটি মুসলিম লীগ দ্বারা ঘোষিত হয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। এটি ছিল একটি দিন যা মুসলিম লীগ ঘোষণা করেছিল ব্রিটিশ ভারতের মুসলিমদের জন্য নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র, পাকিস্তানের দাবিতে সমর্থন জানাতে।
এই দিনটি কেন পালিত হয়েছিল:
  1. মুসলিম লীগের দাবি: ১৯৪৬ সালে, মুসলিম লীগ ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে পাকিস্তান গঠনের দাবি জানায়। তারা চেয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশকে হিন্দু ও মুসলিমদের জন্য দুটি পৃথক রাষ্ট্রে ভাগ করতে।
  2. কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি মুসলিম লীগের দাবির বিরোধিতা করে, কারণ তারা চেয়েছিল ভারত একটি একক রাষ্ট্র হিসেবে থাকুক।
  3. প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস: এই বিরোধের মধ্যে, মুসলিম লীগ ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ ঘোষণা করে ১৬ আগস্ট, ১৯৪৬। তাদের দাবি ছিল যে, মুসলিম জনগণ তাদের নিজেদের পৃথক রাষ্ট্রের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামে নামবে।
পরিণাম: এই দিনটিতে কলকাতায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যা ইতিহাসে ‘কলকাতা হত্যাকাণ্ড’ নামে পরিচিত। এই সহিংসতায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়। কলকাতার পাশাপাশি নোয়াখালী, বিহার এবং অন্যান্য স্থানেও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।
ইতিহাসের গুরুত্ব: প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ঘটনা ভারত বিভাগের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে এবং পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের পৃথক রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।

দাঙ্গার ইতিহাস pdf, কলকাতা দাঙ্গার ইতিহাস pdf

দাঙ্গার ইতিহাস pdf, কলকাতা দাঙ্গার ইতিহাস pdf , নিম্নতে ক্লিক করে ডাউনলোড (Download) করেন

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top