" "

Dream BPT

Table of Contents

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা: জীবনী PDF Free Download

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা ১০০০ শব্দের, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা ৫০০ শব্দের, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা, শেখ মুজিবুর রহমান রচনা, রচনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী একটি রচনা:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

প্রস্তাবনা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা, এক মহান নেতা ছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব ও অবদানের জন্য আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করছি। তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি আন্দোলনের প্রতীক, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেরণা ছিল।
প্রারম্ভিক জীবন: শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। তিনি খুব ছোটবেলা থেকেই সাহসী ও নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন ছিলেন। স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন।
রাজনৈতিক জীবন: শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়েছিল পাকিস্তান আমলে। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর তিনি মুসলিম লীগে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে আওয়ামী মুসলিম লীগের (পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার নেতৃত্ব ছিল অতুলনীয়।
স্বাধীনতার ঘোষণা: ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তিনি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বাঙালিদের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার সেই ভাষণ আজও সকল বাঙালির হৃদয়ে অনুরণিত হয়। তিনি বলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” এই ঘোষণাই বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা দেয়।
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা: ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক বন্দী ছিলেন। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতেও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে তার নির্দেশনাগুলো অমূল্য প্রমাণিত হয়।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার: ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট, এক রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য নিহত হন। এই বর্বর হত্যাকাণ্ড জাতিকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দেয়। কিন্তু তার আদর্শ ও শিক্ষা আজও জীবিত রয়েছে। তিনি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে।
উপসংহার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম বাঙালি জাতির জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা। তার সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বের জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব। তার আদর্শকে সামনে রেখে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ গড়তে সচেষ্ট হব।
 

শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,

শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসেবে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রধান নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধান নেতা ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নেতৃত্ব দেন এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
 
তিনি ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলার অধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের জন্য আন্দোলন করতে শুরু করেন। তার নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর, তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। তার রাজনৈতিক জীবন এবং অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ বাংলাদেশ এবং তার জনগণের জন্য অতুলনীয়। তার নেতৃত্ব এবং আত্মত্যাগ বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে এবং একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

দেশপ্রেম

  1. বাংলার অধিকার ও স্বায়ত্তশাসন: শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বাংলার মানুষের অধিকার এবং স্বায়ত্তশাসনের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং পরবর্তীতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
  2. ছয় দফা আন্দোলন: ১৯৬৬ সালে, শেখ মুজিবুর রহমান তার ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন, যা মূলত পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) স্বায়ত্তশাসনের দাবি ছিল। এটি পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তার সুস্পষ্ট প্রতিবাদ এবং বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের প্রয়াস ছিল।
  3. মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব: ১৯৭১ সালে, পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

আত্মত্যাগ

  1. কারাবরণ: শেখ মুজিবুর রহমান বহুবার কারাবরণ করেছেন বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের সময় তিনি গ্রেফতার হন এবং তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু বাংলার জনগণের ব্যাপক আন্দোলনের ফলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
  2. ব্যক্তিগত ত্যাগ: নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে তিনি জাতির স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার পরিবারের অনেক সদস্যও তার রাজনৈতিক জীবনের কারণে কঠিন সময় পার করেছেন।
  3. শহীদ হওয়া: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম এবং আত্মত্যাগের জন্য তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ এবং ‘জাতির পিতা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। তার আদর্শ এবং অবদান চিরকাল বাংলাদেশের মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি। তাকে “জাতির পিতা” এবং “বঙ্গবন্ধু” বলা হয়। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সফল হয়েছিল। নিচে শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কিছু সাধারণ জ্ঞান দেওয়া হল:
  1. জন্ম: শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ মার্চ ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
  2. রাজনৈতিক ক্যারিয়ার: তিনি মুসলিম লীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ গঠন করেন, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়।
  3. ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
  4. ছয় দফা আন্দোলন: ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন, যা পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  5. স্বাধীনতা সংগ্রাম: ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তার ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন। ২৬শে মার্চ ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
  6. স্বাধীনতার পর: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হন।
  7. মৃত্যু: ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
  8. উপাধি: তার অবদান এবং দেশের প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি “বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত হন।
শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর একজন নেতা এবং তার জীবন ও কর্ম জাতির জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

বঙ্গবন্ধু উপাধি কে দেন কত সালে

“বঙ্গবন্ধু” উপাধি শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৯ সালে দেওয়া হয়। এই উপাধি তাকে তৎকালীন ছাত্র সমাজ কর্তৃক দেওয়া হয়েছিল, বিশেষ করে ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক গণঅভ্যর্থনা সভায়। এই সভায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র সমাজ তার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করে।

শেখ মুজিবুর রহমান জীবনী pdf, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ pdf

নিম্নতে ক্লিক করে ডাউনলোড (Download) করেন

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top