" "

Dream BPT

শোক দিবসের বক্তব্য

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বক্তব্য, শোক দিবসের বক্তব্য, জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য, ১৫ আগস্ট শোক দিবসের বক্তব্য, ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য

 
জাতীয় শোক দিবসের জন্য বক্তব্য তৈরি করতে হলে, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা ১৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্মরণে পালন করা হয়। এখানে একটি প্রস্তাবিত বক্তব্য দেওয়া হলো:
 
বক্তব্য বিকল্প 1:
আসসালামু আলাইকুম,
প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের। আপনাদের উপস্থিতি এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। বিশেষভাবে আমি কৃতজ্ঞ যে, জাতির এই শোকের দিনে আমাকে আপনারা বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
১৫ আগস্ট, ১৯৭৫, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গভীর শোকের দিন। এই দিনে ভোরের আলো ফোটার আগেই স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, ক্ষমতালোভী কুচক্রী মহল ইতিহাসে এক কৃষ্ণ দাগ রেখে গিয়েছিল।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি এবং দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ভেঙে পড়েছিল। ১৫ আগস্টের সেই রাতটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের রক্তে প্লাবিত হয়েছিল।
সেদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি; তাঁরা হত্যা করেছিল বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তাঁর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামালকে।
বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব, তাঁর ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত বাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার স্ত্রী আরজু মনি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং পাকিস্তানের সাথে সংশ্লিষ্ট দালালদের সম্পর্ক আজ স্পষ্ট। বঙ্গবন্ধু হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে বাংলাদেশের অস্তিত্ব মুছে ফেলা, কিন্তু সেই বিশ্বাসঘাতকতা সফল হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব। তাঁর চেতনা এবং আদর্শ অবিনশ্বর। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল।
প্রতিবছর এই দিনে আমরা গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে চিন্তায় ও কর্মে ধারণ করে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ধন্যবাদ।
 
বক্তব্য বিকল্প 2:
জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য
শুভ সন্ধ্যা,
আজ আমরা একত্রিত হয়েছি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫, বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গভীর শোকের দিন। আজকের এই দিনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আমাদের মুক্তির দিশারি, আমাদের স্বাধীনতার মহান নেতারূপে। তাঁর ত্যাগ, সাহস ও নেতৃত্বের জন্য আমরা আজও কৃতজ্ঞ। তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি স্বাধীন, সমৃদ্ধ এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার, তার সেই স্বপ্নের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও আনুগত্য আমরা আজও অটুট রেখেছি।
আজকের দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে আমাদের আরও বেশি সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। আমরা আমাদের জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, তাঁর ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, একটি শক্তিশালী, সুশাসিত ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করব।
শোকের এই দিনে, আমরা সবাই মিলে শপথ গ্রহণ করি যে, আমরা বঙ্গবন্ধুর অমর আদর্শে ও তাঁর সু-সন্তানের নেতৃত্বে আমাদের দেশকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করতে সদা প্রস্তুত থাকব।
বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে, তাঁর ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করছি।
ধন্যবাদ।

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৪

এখানে ২০২৪ সালের জাতীয় শোক দিবসের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়া হলো:
জাতীয় শোক দিবসের বক্তব্য
আসসালামু আলাইকুম,
আজ আমরা জাতীয় শোক দিবস পালন করছি। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শোকাবহ দিন। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আমাদের মুক্তির দিশারি এবং স্বাধীনতার মহান নেতা। তাঁর ত্যাগ ও নেতৃত্বের জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ।
এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা আমাদের সঙ্গী হয়ে থাকবে এবং তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজকের দিনে আমরা বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাঁর ত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
ধন্যবাদ।

জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ

জাতীয় শোক দিবস হল ১৫ আগস্ট, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দিন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড একটি গভীর শোক ও দুঃখের ঘটনা, যা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দেয়। এই দিনটি বাংলাদেশি জনগণের কাছে এক চিরস্থায়ী শোক ও স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
জাতীয় শোক দিবসে, আমরা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও আত্মবলিদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁর আদর্শ ও স্বপ্নের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হল বঙ্গবন্ধুর চেতনা এবং আদর্শের আলোকে একটি শক্তিশালী ও উন্নত বাংলাদেশ গড়া।
আজকের দিনে, আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও শোকের সাথে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে স্মরণ করি এবং তাঁর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানাই।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top