ইসলামিক নববর্ষের শুভেচ্ছা, হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা, হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা ১৪৪৬, হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস
হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে নিম্নলিখিত 34টি শুভেচ্ছা বার্তা আপনার জন্য:
1. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনকে সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে দিন।
2. নববর্ষের এই দিনে আপনার সকল দুঃখ দূর হয়ে যাক। হিজরি ১৪৪৬ মোবারক।
3. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার পরিবারকে শান্তি ও সমৃদ্ধি দান করুন।
4. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার প্রতিটি দিনকে আশীর্বাদে ভরিয়ে তুলুন।
5. হিজরি নববর্ষে আপনার সকল স্বপ্ন পূরণ হোক। শুভ নববর্ষ।
6. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাকে পথপ্রদর্শক হোন।
7. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মধুরতায় ভরিয়ে দিন।
8. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধির ধারা বইয়ে দিন।
9. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সাফল্য দান করুন।
10. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার সকল কষ্ট দূর করে আপনার জীবনকে আলোকিত করুন।
11. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার হৃদয়কে শান্তি ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে দিন।
12. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনে আনন্দ ও সুখের জোয়ার আনুন।
13. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে স্বপ্নময় করে তুলুন।
14. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান দিন।
15. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার হৃদয়কে শান্তি ও সন্তুষ্টিতে পূর্ণ করুন।
16. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখুন।
17. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি দিনকে মধুরতায় ভরিয়ে দিন।
18. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাকে সফলতা দান করুন।
19. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আনন্দময় করে তুলুন।
20. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার সকল স্বপ্ন পূরণ করুন।
21. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাকে পথপ্রদর্শক হোন।
22. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মধুরতায় ভরিয়ে দিন।
23. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সাফল্য দান করুন।
24. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি সমস্যা দূর করে শান্তি ও সুখ প্রদান করুন।
25. হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আশীর্বাদে ভরিয়ে তুলুন।
26. নববর্ষের এই শুভ দিনে আপনার সমস্ত দুঃখ দূর হোক। ইসলামিক নববর্ষ মোবারক।
27. ইসলামিক নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার পরিবারের সবাইকে সুখী ও সুস্থ রাখুন।
28. ইসলামিক নববর্ষে আপনার জীবনে সফলতা ও সমৃদ্ধি আসুক। শুভ নববর্ষ।
29. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আপনাকে পথপ্রদর্শক হোন।
30. ইসলামিক নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সুখে ভরিয়ে দিন।
31. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করুন এবং কষ্ট দূর করুন।
32. ইসলামিক নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার হৃদয়কে শান্তি ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে দিন।
33. নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনে আনন্দ ও সুখের জোয়ার আনুন।
34. ইসলামিক নববর্ষের শুভেচ্ছা! আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মধুর করে তুলুন।
আশা করি এই শুভেচ্ছাগুলো আপনার পছন্দ হবে। হিজরি নববর্ষের শুভেচ্ছা!
হিজরি নববর্ষ কবে
হিজরি নববর্ষ 2024, যা হিজরি বর্ষ 1446 এর প্রথম দিন, শুরু হবে 7 জুলাই 2024 থেকে। এটি চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে, তাই তারিখটি কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
হিজরি নববর্ষ কি সরকারি ছুটি
বাংলাদেশে হিজরি নববর্ষ (মহররমের প্রথম দিন) সাধারণত সরকারি ছুটি হিসেবে পালন করা হয় না। তবে কিছু মুসলিম দেশ, যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, এবং পাকিস্তানে, হিজরি নববর্ষ একটি সরকারি ছুটি হিসেবে পালন করা হয়। বিভিন্ন দেশে ছুটির নিয়মাবলী ভিন্ন হতে পারে।
হিজরি নববর্ষ কি
হিজরি নববর্ষ বা ইসলামিক নববর্ষ হল ইসলামিক ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, যা মহররম মাসের প্রথম দিন হিসেবে পরিচিত। এই দিনটি হিজরি ক্যালেন্ডারের নতুন বছরের সূচনা হিসেবে পালিত হয়।
হিজরি নববর্ষের ইতিহাস
হিজরি নববর্ষের ইতিহাস ইসলামিক ক্যালেন্ডারের সূচনা ও মুসলিম বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় ঘটনা। এর সূচনা ও প্রেক্ষাপট নিম্নরূপ:
হিজরি ক্যালেন্ডারের সূচনা
৬২২ খ্রিস্টাব্দে হিজরত:
ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার সাহাবারা মক্কা থেকে মদিনায় (তৎকালীন ইয়াসরিব) গমনের মাধ্যমে হিজরতের ঘটনা ঘটে। মক্কায় মুসলিমদের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য এই হিজরত করা হয়। এই ঘটনাকে ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
হিজরি ক্যালেন্ডার
প্রবর্তন:
খলিফা হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সময়ে (৬৩৮ খ্রিস্টাব্দ) হিজরি ক্যালেন্ডার প্রবর্তিত হয়। তিনি হিজরতের ঘটনাকে ভিত্তি করে ইসলামিক ক্যালেন্ডার শুরু করেন।
প্রথম মাস:
হিজরি ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস হলো মহররম। এই মাসটি ইসলামের চারটি পবিত্র মাসের একটি।
মহররম মাস ও আশুরা
আশুরা দিবস:
মহররম মাসের দশম দিনটি আশুরা দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি ইসলামের ইতিহাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো কারবালার যুদ্ধ, যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি হযরত হোসাইন (রাঃ) এবং তার পরিবারের সদস্যরা শাহাদাত বরণ করেন।
হিজরি নববর্ষের উদযাপন
ধর্মীয় গুরুত্ব:
হিজরি নববর্ষকে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, বিশেষ প্রার্থনা ও উপবাসের মাধ্যমে পালন করেন। যদিও এই দিনটি ইসলামে উদযাপনের নির্দিষ্ট কোন আচার-অনুষ্ঠান নেই, তবে বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও সংস্কৃতিতে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্ব পায়।
হিজরি নববর্ষের শিক্ষা
সহিষ্ণুতা ও সংহতি:
হিজরতের ঘটনা মুসলিমদের ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মুসলিম উম্মাহকে নিজেদের জীবনে সঠিক পথ অনুসরণের এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখার শিক্ষা দেয়।
হিজরি নববর্ষের ইতিহাস ও তার তাৎপর্য মুসলিম সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত। এটি শুধুমাত্র একটি ক্যালেন্ডারের সূচনা নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও অধ্যবসায়ের একটি প্রতীক।
হিজরি নববর্ষ রচনা
হিজরি নববর্ষ
হিজরি নববর্ষ বা ইসলামিক নববর্ষ হল ইসলামিক ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন, যা মহররম মাসের প্রথম দিন হিসেবে পালিত হয়। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিশেষ দিন, যেহেতু এটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মদিনায় হিজরতের ঘটনার স্মরণ করিয়ে দেয় এবং নতুন বছরের সূচনা করে।
হিজরতের প্রেক্ষাপট
ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তার অনুসারীরা মক্কায় অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছিলেন। ইসলামের প্রসার ও মুসলিমদের নিরাপত্তার জন্য আল্লাহর নির্দেশে তারা মক্কা থেকে মদিনায় গমন করেন। এই ঘটনাটি ৬২২ খ্রিস্টাব্দে ঘটে এবং এটিকে ইসলামের ইতিহাসে ‘হিজরত’ বলা হয়। এই হিজরতের ঘটনাকে ইসলামিক ক্যালেন্ডারের সূচনা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
হিজরি ক্যালেন্ডার
খলিফা হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর শাসনামলে, ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে হিজরি ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করা হয়। এই ক্যালেন্ডারটি চন্দ্র বছরের উপর ভিত্তি করে চলে এবং এতে ১২টি মাস রয়েছে। মহররম, সফর, রবিউল আউয়াল, রবিউস সানি, জমাদিউল আউয়াল, জমাদিউস সানি, রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ।
মহররম মাসের তাৎপর্য
মহররম মাসটি ইসলামের চারটি পবিত্র মাসের একটি। এই মাসের দশম দিনটি ‘আশুরা‘ দিবস হিসেবে পরিচিত। এই দিনটি ইসলামের ইতিহাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো কারবালার যুদ্ধ, যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি হযরত হোসাইন (রাঃ) এবং তার পরিবারের সদস্যরা শাহাদাত বরণ করেন। আশুরা দিবসটি শিয়া মুসলিমদের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, তবে সুন্নি মুসলিমরাও এই দিনটি পালন করেন।
হিজরি নববর্ষের উদযাপন
হিজরি নববর্ষের দিনে মুসলিম সম্প্রদায় বিভিন্ন উপায়ে এই দিনটি উদযাপন করে থাকে। বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় আলোচনা ও উপবাসের মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়। এই দিনে মুসলিমরা নিজেদের জন্য এবং সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করেন।
হিজরি নববর্ষের শিক্ষা
হিজরি নববর্ষ মুসলিমদের জন্য ধৈর্য, সহিষ্ণুতা ও সংহতির শিক্ষা দেয়। হিজরতের ঘটনা মুসলিমদেরকে নিজেদের জীবনে সঠিক পথ অনুসরণের এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখার শিক্ষা দেয়।
হিজরি নববর্ষ শুধুমাত্র একটি নতুন বছরের সূচনা নয়, বরং এটি একটি নতুন জীবনের প্রতীক, যেখানে মুসলিমরা আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করে এবং নিজেদের জীবনকে ইসলামের শিক্ষার আলোকে পরিচালিত করে।
উপসংহার
হিজরি নববর্ষ মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি আমাদেরকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও শিক্ষার প্রতি অনুপ্রাণিত করে এবং আমাদেরকে সঠিক পথে চলার জন্য প্রেরণা যোগায়। হিজরি নববর্ষের এই দিনটি আমাদের সকলের জন্য একটি নতুন শুরু এবং আল্লাহর অনুগ্রহে পূর্ণ একটি জীবনের প্রতীক।
