" "

Dream BPT

Table of Contents

ভারত ছাড়ো আন্দোলন PDF: ক্লিক করে Free ডাউনলোড (Download) করেন

ভারত ছাড়ো আন্দোলন pdf (পিডিএফ) ডাউনলোড লিঙ্ক পোস্টের শেষে উপলব্ধ আছে।

ভারত ছাড়ো আন্দোলন PDF

1942 সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করো

1942 সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন, যা ভারত ছাড়ো আন্দোলন বা আগস্ট আন্দোলন নামেও পরিচিত, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ৮ আগস্ট ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের বোম্বে অধিবেশনে এই আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের স্বাধীনতা অর্জন করা। মহাত্মা গান্ধীর ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ (Do or Die) স্লোগানটি এই আন্দোলনের মূলমন্ত্র হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। প্রথমত, এটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনগণের একতাবদ্ধ প্রতিরোধের অন্যতম উদাহরণ। দ্বিতীয়ত, এই আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি নতুন উদ্দীপনা ও শক্তি জুগিয়েছিল। এছাড়া, এই আন্দোলনের ফলে ভারতীয় জনগণের মধ্যে একটি দৃঢ় বিশ্বাস সৃষ্টি হয় যে তারা ব্রিটিশদের পরাজিত করতে পারে। এই আন্দোলনের ফলস্বরূপ, ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় জনগণের আত্মপ্রত্যয় ও স্বাধীনতার ইচ্ছার প্রতি যথেষ্ট সচেতন হয়ে ওঠে এবং পরবর্তীতে ভারতের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত হয়।

ভারত ছাড়ো আন্দোলন কোথায় হয়েছিল

ভারত ছাড়ো আন্দোলন সারা ভারত জুড়ে সংঘটিত হয়েছিল। এই আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্রস্থল ছিল বোম্বে (বর্তমানে মুম্বাই), যেখানে মহাত্মা গান্ধী ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আহ্বান জানান। তবে, এই আন্দোলনের প্রভাব ও প্রসার ভারতের প্রত্যেক প্রদেশে ও অঞ্চলে অনুভূত হয়েছিল। ক্যালকাটা (কলকাতা), দিল্লি, মাদ্রাজ (চেন্নাই), পাটনা, লখনউ, কানপুর, ব্যাঙ্গালোর সহ বিভিন্ন শহরে আন্দোলনের জোরালো প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কৃষকদের ভূমিকা

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কৃষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গ্রামাঞ্চলের কৃষকরা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের জোরালো প্রতিরোধ প্রদর্শন করে। তারা ব্রিটিশ সরকারের কর ও ভূমি নীতি বাতিল করার দাবি জানায়। কৃষকরা ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন অফিস, রেললাইন ও টেলিগ্রাফ অফিস ধ্বংস করে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, অনেক কৃষক নেতাও এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করেন।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ভাইসরয় কে ছিলেন

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড লিনলিথগো (Lord Linlithgow)। তিনি ১৯৩৬ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত ভারতের ভাইসরয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লর্ড লিনলিথগোর শাসনামলেই ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয় এবং তিনি এই আন্দোলন দমনের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটিশ সরকারকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্ররোচিত করেন এবং অনেক কংগ্রেস নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভারতের বিভিন্ন শহরের শ্রমিকরা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তারা বিভিন্ন শিল্প ও কারখানায় ধর্মঘট ও প্রতিবাদ মিছিলের মাধ্যমে আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানায়। শ্রমিকরা রেললাইন, টেলিগ্রাফ অফিস এবং ব্রিটিশ সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে আন্দোলনে শক্তি প্রদান করে। শ্রমিকদের এই সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্দোলনের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং তাদের প্রতিরোধ ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অসন্তোষের একটি শক্তিশালী উদাহরণ স্থাপন করে।

ভারত ছাড়ো আন্দোলন pdf, নিম্নতে ক্লিক করে ডাউনলোড (Download) করেন

ভারত ছাড়ো আন্দোলন:

ভারত ছাড়ো আন্দোলন: একটি ইতিহাস এবং এর প্রভাব

ভারত ছাড়ো আন্দোলন, যা কুইট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট নামেও পরিচিত, ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল। এই আন্দোলন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং এটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের জোরালো প্রতিরোধের প্রতীক।

আন্দোলনের পটভূমি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, ব্রিটিশ সরকার ভারতের মানুষকে বিনা পরামর্শে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলে। ভারতের মানুষ ব্রিটিশদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠে এবং তাদের শাসনকে আর সহ্য করতে না পেরে মুক্তির জন্য আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪২ সালের ৮ই আগস্ট, মহাত্মা গান্ধী বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) এ “ভারত ছাড়ো” স্লোগান দিয়ে আন্দোলনের সূচনা করেন।

আন্দোলনের মূল প্রতিপাদ্য

গান্ধীজি এই আন্দোলনের মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছিলেন:
  1. আহিংসা: গান্ধীজি সব সময় অহিংসার পক্ষে ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে অহিংসা দিয়েই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা সম্ভব।
  2. নাগরিক অবাধ্যতা: জনগণকে ব্রিটিশ সরকারের আইন না মানার আহ্বান জানান।
  3. সম্পূর্ণ স্বাধীনতা: ভারতের জনগণকে ব্রিটিশ শাসনের পুরোপুরি মুক্ত করার দাবি জানানো হয়।

আন্দোলনের প্রভাব

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মহাত্মা গান্ধী সহ বহু নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অনেক আন্দোলনকারীকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। তবে আন্দোলনকারীরা নির্ভীকভাবে তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যায়। এই আন্দোলনের ফলে ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্য ও স্বাধীনতার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় জাগ্রত হয়।

আন্দোলনের ফলাফল

এই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে যে ভারতীয়দের দাবি অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট, ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।

গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ

মহাত্মা গান্ধী ছাড়াও এই আন্দোলনে জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, এবং সুভাষ চন্দ্র বসুর মত নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা সকলেই তাদের জীবন বিপন্ন করে দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন।

আন্দোলনের শিক্ষা

ভারত ছাড়ো আন্দোলন আমাদের শেখায় যে ঐক্যবদ্ধভাবে কোন সংগ্রাম করা সম্ভব। এটি অহিংসার শক্তি এবং সঠিক নেতৃত্বের মূল্যও বোঝায়।
 
প্রশ্ন এবং উত্তর

ভারত ছাড়ো আন্দোলন কবে শুরু হয়?

উত্তর: ভারত ছাড়ো আন্দোলন ১৯৪২ সালের ৮ই আগস্ট শুরু হয়।

এই আন্দোলনের মূল প্রতিপাদ্য কী ছিল?

উত্তর: এই আন্দোলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল অহিংসা, নাগরিক অবাধ্যতা, এবং সম্পূর্ণ স্বাধীনতা।

আন্দোলনের প্রধান নেতা কে ছিলেন?

উত্তর: আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন মহাত্মা গান্ধী।

আন্দোলনের প্রভাব কী ছিল?

উত্তর: আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার ভারতকে স্বাধীনতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।

আন্দোলনের সময় ভারতীয় নেতাদের ভূমিকা কী ছিল?

উত্তর: মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, এবং সুভাষ চন্দ্র বসুর মত নেতারা আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের শিক্ষা কী?

উত্তর: ভারত ছাড়ো আন্দোলন আমাদের শেখায় যে ঐক্যবদ্ধভাবে কোন সংগ্রাম করা সম্ভব এবং অহিংসার শক্তি এবং সঠিক নেতৃত্বের মূল্য বোঝায়।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষাপট কী ছিল?

    • ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ব্রিটিশদের ভারতীয়দের সাথে পরামর্শ না করে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলা।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কারা অংশগ্রহণ করেছিলেন?

    • মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, সর্দার প্যাটেল, মৌলানা আজাদ, সুভাষ বসু এবং আরও অনেক নেতা ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের স্লোগান কী ছিল?

    • “ভারত ছাড়ো” বা “Quit India” ছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মূল স্লোগান।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ সরকারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

    • ব্রিটিশ সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, বহু নেতাকে গ্রেপ্তার করে এবং আন্দোলনকারীদের শাস্তি দেয়।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী ছিল?

    • এই আন্দোলনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ছিল ভারতীয়দের মধ্যে স্বাধীনতার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় এবং ঐক্য জাগ্রত করা, যা ভারতকে স্বাধীনতা লাভে সহায়ক হয়।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top