Table of Contents
Toggleনেলসন ম্যান্ডেলার উক্তি: বাংলাতে 10 Best উক্তি এবং ম্যান্ডেলার বিষয়ে সবকিছু
নেলসন ম্যান্ডেলা বাংলা সহ ইংরেজি উক্তি
নেলসন ম্যান্ডেলার অনেক বিখ্যাত উক্তি রয়েছে যা প্রেরণা এবং মানবাধিকারের জন্য সংগ্রামের প্রতীক। তার কিছু বিখ্যাত উক্তি হলো:
- “The key to changing the world lies in the power of education.” (বিশ্ব পরিবর্তনের চাবিকাঠি শিক্ষার শক্তিতে নিহিত।)
- “What seems impossible always becomes possible once achieved.” (যা অসম্ভব মনে হয়, তা অর্জনের পর সম্ভব হয়ে ওঠে।)
- “I don’t consider myself a saint, unless you see a saint as someone who continually strives despite their imperfections.” (আমি নিজেকে সাধু মনে করি না, যদি না আপনি সাধুকে এমন একজন হিসেবে মনে করেন যে তার ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও অবিরাম চেষ্টা করে।)
- “True freedom is not merely about shedding your own constraints; it’s about living in a manner that supports and improves the freedom of others.” (সত্যিকারের স্বাধীনতা শুধু নিজের বাধাগুলি ত্যাগ করা নয়; এটি এমনভাবে জীবনযাপন করা যা অন্যদের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে এবং উন্নত করে।)
- “Living fully is not about escaping failure but about rising after each fall.” (পূর্ণভাবে জীবনযাপন করা মানে ব্যর্থতা এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং প্রতিবার পড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়ানো।)
এগুলো ছাড়াও নেলসন ম্যান্ডেলার আরও অনেক অনুপ্রেরণামূলক উক্তি রয়েছে যা মানুষকে সাহস এবং আশার আলো দেখায়।
নেলসন ম্যান্ডেলার উক্তি, নেলসন ম্যান্ডেলা উক্তি, নেলসন ম্যান্ডেলা উক্তি শিক্ষা, নেলসন ম্যান্ডেলার বিখ্যাত উক্তি
নেলসন ম্যান্ডেলার কিছু বিখ্যাত উক্তি:
১. “শিক্ষা হলো একমাত্র শক্তিশালী হাতিয়ার যা বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে।”
২. “যতক্ষণ না এটি সম্পন্ন হয়, এটি সবসময় অসম্ভব মনে হয়।”
৩. “আমি সাধু নই, যদি না আপনি মনে করেন যে সাধু হল সেই ব্যক্তি যিনি নিরন্তর চেষ্টা করে।”
৪. “স্বাধীনতা কেবল নিজের শিকল ভাঙার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি এমনভাবে জীবনযাপন করা যা অন্যদের স্বাধীনতাকে সম্মান করে এবং উন্নীত করে।”
৫. “জীবনের সেরা গৌরব কখনোই না পড়ে যাওয়া নয়; বরং প্রতিবার পড়ে গিয়ে পুনরায় উঠে দাঁড়ানোতে।”
নেলসন ম্যান্ডেলা কে ছিলেন, নেলসন ম্যান্ডেলা
নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন প্রখ্যাত নেতা এবং মানবাধিকারকর্মী। তিনি ১৯১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় চরিত্র ছিলেন।
তার কর্মজীবনের মধ্যে:
- বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম: ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন। তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) এর সদস্য এবং মুক্তির জন্য সংগ্রামকারী হিসেবে পরিচিত।
- কারাবাস: ১৯৬২ সালে গ্রেফতার হয়ে ১৯৬৪ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি ২৭ বছর কারাগারে কাটান, এর মধ্যে প্রধানত রোবেন দ্বীপে ছিলেন।
- মুক্তি এবং রাষ্ট্রপতি: ১৯৯০ সালে মুক্তি পেয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কালো রাষ্ট্রপতি হন। তার নেতৃত্বে, ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
- মির্সিং এবং পুরস্কার: ম্যান্ডেলা নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং অনেক আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন করেছেন। তার জীবন ও কর্মকাণ্ড বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা, মানবাধিকারের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
নেলসন ম্যান্ডেলা কত সালে নোবেল পান
নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তিনি এই পুরস্কারটি দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এফ. ডব্লিউ. ডি. ক্লার্কের সাথে যৌথভাবে পান, যারা উভয়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যের অবসান এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন।
নেলসন ম্যান্ডেলার ডাক নাম
নেলসন ম্যান্ডেলার ডাক নাম ছিল “মাদিবা” (Madiba)। এটি তার গোত্রের নাম, যা দক্ষিণ আফ্রিকার থেম্বু সম্প্রদায়ের বয়োজ্যেষ্ঠ এবং সম্মানিত ব্যক্তিদের দেওয়া হয়। এই নামটি ম্যান্ডেলার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের প্রতীক।
নেলসন ম্যান্ডেলা কত বছর জেলে ছিলেন, নেলসন ম্যান্ডেলা কত বছর কারাভোগ করেন
নেলসন ম্যান্ডেলা মোট ২৭ বছর কারাভোগ করেন। ১৯৬২ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৯৬৪ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। এই দীর্ঘ কারাবাসের সময় তিনি রোবেন দ্বীপ (Robben Island), পলস্মুর কারাগার (Pollsmoor Prison), এবং ভিক্টর ভেস্টার কারাগার (Victor Verster Prison) সহ বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন।
নেলসন ম্যান্ডেলার কয়েদি নম্বর
নেলসন ম্যান্ডেলার সবচেয়ে পরিচিত কয়েদি নম্বর ছিল 46664। এটি তার রোবেন দ্বীপে থাকার সময়ের কয়েদি নম্বর ছিল, যেখানে তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বন্দী ছিলেন। 46664 নম্বরটি নির্দেশ করে যে তিনি ১৯৬৪ সালে রোবেন দ্বীপে বন্দী হওয়া ৪৬৬তম কয়েদি ছিলেন। এই নম্বরটি পরবর্তীতে এইডস সচেতনতা প্রচারের জন্য একটি বৈশ্বিক প্রচারণার অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
নেলসন ম্যান্ডেলাকে কোন দ্বীপে নির্বাসিত করা হয়েছিল
নেলসন ম্যান্ডেলাকে রোবেন দ্বীপে (Robben Island) নির্বাসিত করা হয়েছিল। তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত এই দ্বীপে বন্দী ছিলেন। রোবেন দ্বীপ দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন শহরের উপকূল থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি একটি কঠোর নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগার ছিল, যেখানে রাজনৈতিক বন্দীদের রাখা হত।
নেলসন ম্যান্ডেলা কত সালে বাংলাদেশে আসেন
নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকায় আসেন এবং বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান এবং সভায় অংশগ্রহণ করেন। ম্যান্ডেলার এই সফর বাংলাদেশের মানুষ এবং সরকারের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত ছিল, যেহেতু তিনি বৈশ্বিকভাবে সম্মানিত এবং প্রভাবশালী একজন নেতা ছিলেন।
নেলসন ম্যান্ডেলার আত্মজীবনীর নাম কি
নেলসন ম্যান্ডেলার আত্মজীবনীর নাম “Long Walk to Freedom” (বাংলা: “স্বাধীনতার দীর্ঘ পথযাত্রা”)। এই বইটি ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় এবং এতে ম্যান্ডেলা তার শৈশব, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, কারাগারের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা আন্দোলনের বিবরণ তুলে ধরেছেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল এবং বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।