" "

Dream BPT

This post may contain Amazon affiliate links. If you make a purchase through one of these links, we may earn a small commission at no extra cost to you. Learn more.

Table of Contents

স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য: 78তম দিবসের Best প্রস্তুতি

স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য

15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য, 78 তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য, স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য, 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য 2024, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য, স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য বাংলা, স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য 2024, 15 ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ

সংক্ষিপ্ত ভাষণ (Short speech)
  1. বিকল্প ১:
    সম্মানিত প্রধান শিক্ষক মহোদয়/মহোদয়া, শিক্ষকদের প্রিয়বন্ত, এবং আমার প্রিয় বন্ধুদের সবাইকে, ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা আমাদের দেশের মহান স্বাধীনতার ইতিহাসকে স্মরণ করি। ১৯৪৭ সালের মধ্যরাতে, যখন পুরো পৃথিবী ঘুমিয়ে ছিল, ভারত নতুন জীবন ও স্বাধীনতার সাথে জাগ্রত হয়। আজ আমরা সেই ইতিহাসের অংশ হিসেবে স্বাধীনতার এই দিনটিকে উদযাপন করি এবং আমাদের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
 
বিকল্প ২:
প্রিয় শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ, এবং সকল বন্ধুদের, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। এই দিনটি আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ১৯৪৭ সালের মধ্যরাতে ভারত নতুন স্বাধীনতার সূচনা করে। সেই রাতের ঘণ্টার ধ্বনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের বীরদের আত্মবলিদানের কথা এবং তাদের সংগ্রামের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা।
  1. বিকল্প ৩:
প্রিয় বন্ধুরা, স্বাধীনতা দিবস আমাদের দেশের ইতিহাসের একটি বিশেষ দিন। প্রতি বছর ১৫ আগস্ট আমরা এই দিনটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করি। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের মুক্তির জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের প্রতি গর্ব ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।
এই শুভ দিনে, আমরা মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, সুভাষচন্দ্র বসু এবং অগণিত দূরদর্শী নেতার প্রতি সম্মান জানাই, যাঁরা অদম্য সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আজ আমাদের দেশ স্বাধীন এবং একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে, যা আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগের ফলস্বরূপ।
জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিটি ভারতীয়কে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করা উচিত, যাতে আমরা দেশের উন্নয়ন করতে পারি। বৈষম্য দূর করার জন্য অসহায় ও দরিদ্রদের সাহায্য করা উচিত।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকালে আমাদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি সচেতন থাকা দরকার। সামাজিক বৈষম্য, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করতে আমাদের নিরন্তর কাজ করতে হবে। এই স্বাধীনতা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার করা উচিত যে, আমরা সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি এবং দেশের শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব।
দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে, আসুন আমরা আমাদের প্রিয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং এটিকে উন্নত করার জন্য সমস্ত চেষ্টা করি।
 
দীর্ঘ ভাষণ (Long speech)
বিকল্প 4:
নমস্কার জানিয়ে এবং নিজের পরিচয় দিয়ে শুরু করছি,
প্রধান শিক্ষক মহোদয়/মহোদয়া, সম্মানিত শিক্ষক ও শিক্ষিকা বৃন্দ, এবং আমার প্রিয় বন্ধুদের সবাইকে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই বিশেষ দিনে আমাদের সামনে কিছু কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।
১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট রাতে, যখন রাত বারোটা বাজতে আর কিছুই বাকি ছিল না, তখন জহরলাল নেহেরু তাঁর বিখ্যাত বক্তৃতা শুরু করেন এই লাইন দিয়ে: “মধ্যরাতের ঘণ্টার ধ্বনিতে, যখন পুরো পৃথিবী ঘুমিয়ে থাকে, ভারত জীবন ও স্বাধীনতার অভ্যুদয় ঘটবে।” এরপরই মধ্যরাতের ঘণ্টা বেজে ওঠে, আর ভারতীয় মাটিতে শুরু হয় নতুন একটি অধ্যায়। ১৫ই আগস্ট সকালে গণপরিষদে রাষ্ট্রীয় যাত্রা শুরু হয়, এবং সারা ভারতবর্ষে উত্তোলিত হয় জাতীয় পতাকা। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের পর, ভারত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই মুক্তির পেছনে অনেক বীরের আত্মবলিদান রয়েছে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী, ভগত সিং, রাজগুরু, ক্ষুদিরাম বসু, মাস্টার দা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, মাতঙ্গিনী হাজরা, এবং জহরলাল নেহেরু। তাঁদের আত্মবলিদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ এবং তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
আজকের এই মহান দিনে, ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরতে চাই:
১৭ শতাব্দীর শুরু থেকে ইংরেজরা ভারতে আসতে শুরু করে, তখন ভারতে মোঘল শাসন চলছিল। যদিও তারা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে এসেছিল, কিন্তু তাদের আসল লক্ষ্য ছিল সম্পত্তি লুট করা। পলাশী ও বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভের পর, ভারতে ইংরেজ শাসনের সূচনা হয় এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের মাধ্যমে শোষণ শুরু হয়। ভারতীয়দের শোষণ করে ইংরেজরা ধীরে ধীরে ধনী হতে থাকে, আর অত্যাচার বেড়ে যায়। মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয়, তবে বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে মঙ্গল পান্ডকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
১৮৮৫ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণস্বরূপ হয়ে ওঠে। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের বহু যুবক “বন্দেমাতরম” ধ্বনি উচ্চারণ করতে থাকে। বাংলায় ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব তীব্র হলে লর্ড কার্জন বাংলাকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। এই বিভাজন বিরোধী বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন শুরু হয় এবং সাহসী বিপ্লবীরা যেমন ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী, বিনয়-বাদল-দীনেশ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
১৯১১ সালে বাংলায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বেড়ে গেলে ইংরেজরা কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত করে। আন্দোলন দমন করতে রাওলাট আইন পাস করা হয়, যার ফলে গ্রেফতার শুরু হয় বিনা বিচারে। ১৩ই এপ্রিল অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে ব্রিটিশ সরকারের গুলিতে বহু মানুষ নিহত হয়, যার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাইট উপাধি ত্যাগ করেন।
১৯২৫ সালে কাকরি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হিন্দুস্তান রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা ইংরেজদের কাছ থেকে টাকা লুট করেন। ১৯২৯ সালে কংগ্রেস পূর্ণ স্বাধীনতার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ৩১শে ডিসেম্বর নেহেরু লাহোরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ২৬শে জানুয়ারি ১৯৩০ সালে প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়, যদিও ব্রিটিশ সরকার এটি স্বীকৃতি দেয়নি। পরবর্তীতে আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় এবং কংগ্রেস পার্টিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। গান্ধীজি ১৯৩৩ সালে জেল থেকে মুক্তি পান।
এরপর সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু হয় এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আজাদ হিন্দ বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু তাঁর লড়াকু মনোভাব আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
১৯৪২ সালে গান্ধীজি ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু করেন এবং ৯ই আগস্ট তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলন থামেনি; আন্দোলনকারীরা মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে লড়াই চালিয়ে যায়। ১৯৪৬ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ একটি মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দেন, যার ফলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। এই দাঙ্গা শান্ত করতে পাকিস্তানের জন্ম হয় এবং ১৫ই আগস্ট মধ্যরাতে ভারত স্বাধীন হয়।
আজকের এই মহান দিনে, দিল্লির লাল কেল্লা থেকে শুরু করে সব অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হচ্ছে। নানা ভাষা, ধর্ম ও বর্ণের দেশ ভারতবর্ষে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য বিরাজমান। আমরা শপথ গ্রহণ করি, আমাদের দেশের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার জন্য সদা প্রস্তুত থাকব।
 

সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব কি?

উত্তর: স্বাধীনতা দিবস আমাদের দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্টে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই দিনটি আমাদের বীর শহীদদের আত্মবলিদান এবং সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ প্রদান করে।

প্রশ্ন ২: স্বাধীনতা দিবস কীভাবে উদযাপিত হয়?

উত্তর: স্বাধীনতা দিবস সাধারণত জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়। এদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, এবং সামাজিক সংগঠনগুলো অনুষ্ঠান আয়োজন করে এবং দেশবাসীকে স্বাধীনতার মূল্যবোধ উপলব্ধি করানোর চেষ্টা করে।

প্রশ্ন ৩: স্বাধীনতা দিবসে প্রধান বক্তার বক্তব্যে কী বিষয়গুলো তুলে ধরা উচিত?

উত্তর: প্রধান বক্তার বক্তব্যে স্বাধীনতার ইতিহাস, বীর শহীদদের আত্মবলিদান, দেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি, এবং দেশের মূল্যবোধ রক্ষা করার গুরুত্ব তুলে ধরা উচিত। এছাড়া, বর্তমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করে সেই বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের উপরও জোর দেওয়া উচিত।

প্রশ্ন ৪: কেন স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় বীর শহীদদের নাম উল্লেখ করা হয়?

উত্তর: স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় বীর শহীদদের নাম উল্লেখ করা হয় কারণ তারা দেশের মুক্তির জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের অবদানকে স্মরণ করে আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে তাদের আত্মবলিদানের মূল্য বুঝতে সাহায্য করে এবং দেশের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে।

স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য pdf

স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য pdf , নিম্নতে ক্লিক করে ডাউনলোড (Download) করেন

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top