" "

Dream BPT

শিক্ষক দিবসের কবিতা 2024: শুভেচ্ছা, বক্তব্য, বক্তৃতা, রচনা, বার্তা, ছবি ও সবকিছু

শিক্ষক দিবসের কবিতা 2024
শিক্ষক দিবসের কবিতা 2024

শিক্ষক দিবস কেন পালন করা হয়

বিশ্বব্যাপী শিক্ষক দিবস ৫ অক্টোবর পালন করা হলেও, ভারতে এই দিনটি ৫ সেপ্টেম্বর উদযাপন করা হয়। ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এই দিনটি পালিত হয়। শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গঠনে অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।

শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা, শুভ শিক্ষক দিবস, শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা, শুভ শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা, শিক্ষক দিবসের ছবি

add image
  1. আপনি আনন্দ এবং সুখ কামনা করছি! আপনি একজন অবিশ্বাস্য শিক্ষক এবং সত্যিই সেরাটা পাওয়ার যোগ্য।
  2. সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক শুধু বই থেকে নয়, হৃদয় থেকে শিক্ষা দেন। একজন আশ্চর্যজনক শিক্ষক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ শিক্ষক দিবস!
  3. শুভ শিক্ষক দিবস! আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারা সম্মানের বিষয়। আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! আমাদের স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার মতো আরও শিক্ষাবিদ দরকার।
  4. আমাদের মধ্যে সেরাটি বের করে আনতে আপনি যে পরিশ্রম এবং কঠোর পরিশ্রম করেছেন তা কখনও শব্দ দিয়ে শোধ করা যাবে না। আপনার মত একজন শিক্ষক পেয়ে আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ!
  5. শিক্ষক, আপনি সর্বদাই আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন শ্রেষ্ঠত্বের জন্য চেষ্টা করতে এবং মহান গ্রেড অর্জন করতে। আমি তোমাকে সবসময় মনে রাখব। শুভ শিক্ষক দিবস!
  6. আমার গ্রেড সবসময় সেরা নাও হতে পারে, কিন্তু আপনাকে আমার শিক্ষক হিসেবে পেয়ে আমি সত্যিই ধন্য মনে করি। আমি জানি তুমি কখনই আমাকে ছেড়ে যাবে না। আমাকে নিজের সেরা সংস্করণ হতে সাহায্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ. আপনার কারণে, আমি সামনে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি। তুমি আমাকে আমার আলো জ্বালাতে শিখিয়েছ। শুভ শিক্ষক দিবস!
  7. তুমি আমার জীবনের স্ফুলিঙ্গ, অনুপ্রেরণা, পথপ্রদর্শক এবং মোমবাতি। আমি আপনাকে আমার শিক্ষক হিসাবে পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে কৃতজ্ঞ।
  8. আমি সৌভাগ্যবান যে আপনার মতো একজন শিক্ষক পেয়েছিলাম। আপনাকে আনন্দময় মুহূর্তগুলিতে ভরা একটি শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা!
  9. আমাদের বাবা-মা আমাদের জীবন দিয়েছেন, কিন্তু আপনিই আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে এটি বাঁচতে হয়। আপনি আমাদের চরিত্রের মধ্যে সততা, সততা এবং আবেগ স্থাপন করেছেন। শুভ শিক্ষক দিবস!
  10. এই হৃদয়গ্রাহী বার্তাটি আমার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের জন্য, যাঁর আমাদের স্কুলের প্রতি উৎসর্গ অনেক প্রশংসা করা হয়েছে। আপনি আপনার ব্যতিক্রমী শিক্ষা দিয়ে আমাদের স্কুলের ভিত্তি হয়ে গেছেন। আপনার সেবার জন্য আমার হৃদয়ের নীচ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ.
  11. সেরা শিক্ষকরা শুধু উত্তর দেন না; তারা আপনার মধ্যে উত্তর খুঁজে পাওয়ার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলে। শুভ শিক্ষক দিবস!
  12. এবিসি থেকে লাল, সাদা এবং নীল, ইতিহাস এবং গণিত পর্যন্ত, আমি যা বলতে চাই তা হল একটি বড় ধন্যবাদ!
  13. আপনার মতো একজন শিক্ষক পেয়ে আমি অবিশ্বাস্যভাবে ধন্য বোধ করি যে আমাকে শুধু আমার লক্ষ্য অর্জনের জন্যই ঠেলে দেয় না বরং প্রতিটি পদক্ষেপে আমাকে সমর্থন করে। আজ, আমি আপনার অপ্রতিরোধ্য নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং শ্রেণীকক্ষে আপনার অভাবনীয় জ্ঞানকে উদযাপন করছি। আপনার ছাত্র হতে পারা আমার জন্য গর্বের বিষয়। শুভ শিক্ষক দিবস!
  14. আজ আমরা আপনার মতো শিক্ষকদের সম্মান করি, যারা তাদের সবকিছুতে নিজেদের অনেক কিছু দেন। ধন্যবাদ, আমার শিক্ষক, আপনি যা দিয়েছেন তার জন্য। আমি আপনার ছাত্র হতে কৃতজ্ঞ. আমার সেরা হওয়ার জন্য আমাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এবং আমার মধ্যে শেখার জন্য একটি আবেগ জাগানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ শিক্ষক দিবস!

শিক্ষক দিবস সম্পর্কে দুটি বাক্য, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কিছু কথা

শিক্ষক দিবস: প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর সারা ভারতবর্ষে জাতীয় স্তরে শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়। ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি, ১৮৮৮ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে, তার কিছু ছাত্র এবং বন্ধু তাকে তার জন্মদিন উদযাপন করতে বললে, তিনি প্রস্তাব দেন তার জন্মদিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করতে।
সেই থেকে তার জন্মদিন ভারতে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তিনি শিক্ষার একজন সমর্থক ছিলেন এবং নারী শিক্ষার গুরুত্বও তুলে ধরেছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে তুলনামূলক ধর্ম ও দর্শন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প। রাধাকৃষ্ণন বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষকদের মন দেশের সেরা মন হওয়া উচিত, কারণ সমাজে পরিবর্তন আনার ক্ষমতা তাদের হাতেই থাকে।
সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন তার সমস্ত অধ্যয়ন শেষ করে ১৯১৮ সালে দর্শনের অধ্যাপক হিসেবে ছাত্রদের পড়ানো শুরু করেন। ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জীবনে শিক্ষা এবং শিক্ষকদের ছিল গভীর গুরুত্ব। তারই ফলশ্রুতিতে তার জন্মদিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে আমরা শিক্ষক দিবস এবং ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জীবন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানাবো।

শিক্ষক দিবসের কবিতা, শিক্ষক দিবসের কবিতা আবৃত্তি, শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা pdf, শিক্ষক দিবস কবিতা

নম্র শিক্ষকের মধুর বাণী, 
আলো জ্বালে মনের কোণায়, 
জ্ঞান প্রদীপে পথ দেখান, 
আঁধার ঘুচে আলোর ছোঁয়ায়।
 
শিক্ষকের এই অপার দানে, 
নতুন স্বপ্ন গড়ে উঠে, 
তাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসায়, 
শিক্ষক দিবস মনে বেঁধে।

শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তব্য, শিক্ষক দিবসের ছোট বক্তৃতা, শিক্ষক দিবসের বক্তব্য

সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৩, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীবৃন্দ, মা-বাবা, সভাপতি মহাশয়, এবং অতিথিবৃন্দ সবাইকে শ্রদ্ধার সাথে প্রণাম জানাচ্ছি। পাশাপাশি, আমার স্নেহের সহপাঠী, ভাই-বোন, বয়োজ্যেষ্ঠ দাদা-দিদি এবং আমার আপনজন, যাদের থেকে আমি বিভিন্ন সময়ে সুশিক্ষা গ্রহণ করেছি, তাদের সবাইকে আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে কিছু কথা বলছি।
একজন সফল ব্যক্তির পেছনে শিক্ষকের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। শিক্ষক শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান দেন না, তিনি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন, ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহিত করেন এবং সাফল্যের মুহূর্তে নতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।
আজকের এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য খুঁজতে গেলে জানা যায়, এক মহান শিক্ষক ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন ১৮৮৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-৬২) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি (১৯৬২-৬৭)। তিনি রাজনীতিবিদ, দার্শনিক এবং অধ্যাপক ছিলেন। ছাত্রজীবনে অসামান্য মেধাবী ছিলেন এবং কখনও কোনো পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি। ১৯০৫ সালে মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্বজুড়ে তিনি একজন বিশিষ্ট দার্শনিক অধ্যাপক হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ নাইটহুডে ভূষিত হন। ১৯৫৪ সালে তাঁকে ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হয়। মহীশুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অধ্যাপনা করেছেন এবং বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখিও করেছেন। রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর, তাঁর ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন উদযাপন করতে চাইলে তিনি প্রস্তাব করেন যে, ৫ই সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিনের পরিবর্তে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হোক। তারপর থেকে এই দিনটি ভারতে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর, যখন তাঁর ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন উদযাপন করতে চেয়েছিলেন, তিনি পরামর্শ দেন যে ৫ই সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিনের পরিবর্তে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হোক। এই প্রস্তাবের পর থেকেই ভারতে ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে উদ্‌যাপিত হচ্ছে।
আজকের দিনে আমরা, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে, ভারতের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে আমাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ হব। শিক্ষক ও গুরুজনদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং একে অন্যের সহযোগিতা করে আমরা সমাজকে আরও উন্নত করে তুলতে পারি।
সবশেষে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে শ্রদ্ধার সাথে প্রণাম জানাই এবং বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠী ও সমগ্র দেশের সকলকে শিক্ষক দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
নমস্কার।

শিক্ষক দিবসে শিক্ষকের বক্তব্য

আমার সম্মানিত সহকর্মী, শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ, ব্যবস্থাপনার সদস্যবৃন্দ এবং আমার প্রিয় ছাত্রদের শুভ সকাল। আজ, শিক্ষক দিবসের এই বিশেষ উপলক্ষ্যে, আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আমার চিন্তাভাবনা জানাতে পেরে আমি গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছি।
 
একজন শিক্ষক হওয়া একটি গভীর বিশেষাধিকার, যা আমাদেরকে আপনার জীবনের একটি অংশ হতে, আপনার স্বপ্নে ভাগ করতে এবং আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে লালন করতে দেয়। আমাদের ভূমিকা বিষয় শিক্ষার বাইরে যায়; এতে মূল্যবোধ জাগানো, কৌতূহল জাগানো এবং সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা জড়িত।
 
শিক্ষকরা অনেক টুপি পরেন—আমরা পরামর্শদাতা, গাইড, বন্ধু এবং কখনও কখনও পিতামাতার ব্যক্তিত্বও। আমাদের উপর অর্পিত তরুণ মনকে পরিচালিত করে আমাদের দেশ ও বিশ্বের ভবিষ্যত গঠনের অপরিসীম দায়িত্ব রয়েছে।
যখন আমরা শিক্ষক দিবস উদযাপন করি, আমরা ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনকে সম্মান করি, একজন বিশিষ্ট শিক্ষক, দার্শনিক এবং রাষ্ট্রনায়ক, যার জন্মদিন আমরা আজ উদযাপন করি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষা একটি রূপান্তরমূলক যাত্রা যা মন এবং আত্মা উভয়কেই সমৃদ্ধ করে। এই বিশ্বাস নিয়েই আমরা শিক্ষাবিদ হিসেবে আমাদের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
 
আমাদের শিক্ষার্থীদের বৃদ্ধি এবং রূপান্তরের সাক্ষী আমাদের জন্য অপরিমেয় আনন্দ নিয়ে আসে। তাদের প্রশ্ন, কৌতূহল এবং শেখার আগ্রহ সবসময় অনুপ্রেরণার উৎস। তাদের চোখের মাধ্যমে, আমরা জীবনের অর্থ পুনরায় আবিষ্কার করি এবং নম্রতা, ধৈর্য এবং বিশ্বকে নতুন করে দেখার আনন্দের মূল্যবোধ শিখি।
 
আজ, আমি আমার সমস্ত সহ শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। আপনি অনুপ্রেরণা এবং সমর্থন একটি উৎস. একসাথে, আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে এমন একটি জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করি যেখানে শেখার, বৃদ্ধি এবং সুখের বিকাশ ঘটে।
 
আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে পিতামাতারা তাদের সন্তানদের শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিতা-মাতাই প্রথম শিক্ষক, আর পরিবারই প্রথম বিদ্যালয়। আপনি আমাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন এবং শিক্ষিত করার লক্ষ্যে আপনার অটল সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
 
শিক্ষক হিসাবে, আসুন আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলকভাবে চিন্তা করতে, সহানুভূতি দেখাতে এবং সীমাহীন স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করি। আসুন আমরা পথপ্রদর্শক হয়ে উঠি যা তাদেরকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পথে নিয়ে যায়।
এই বিশেষ দিনে, আমি শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষার্থীদের এই চমৎকার সম্প্রদায়ের অংশ হতে পেরে কৃতজ্ঞ। আমাকে আপনার পাশে পরিবেশন করার এবং শেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শুভ শিক্ষক দিবস!
 
ধন্যবাদ

শিক্ষক দিবস রচনা

শিক্ষক ছাড়া আমাদের জীবন এলোমেলো হয়ে যেত। শিক্ষক ও শিক্ষিকারা আমাদের সবার জীবনে গভীরভাবে জড়িয়ে আছেন। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যার জীবনে কোনো শিক্ষক নেই। আমরা প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখি—হোক তা বাড়িতে, বাইরের জগতে, বা প্রকৃতির কাছ থেকে। তাই সবার জীবনেই শিক্ষক দিবসের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষক দিবস একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হিসেবে উদযাপিত হয়।
 
শিক্ষক দিবসের প্রবর্তক ছিলেন ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান। ১৮৮৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর তিনি তামিলনাড়ুর একটি দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন এবং শিক্ষাজীবনে সবসময় প্রথম স্থান অর্জন করতেন। শিক্ষার প্রতি তাঁর অসীম টান ছিল।
এই গভীর আগ্রহের কারণে তিনি অধ্যাপক, দার্শনিক এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুড উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে এবং ১৯৫৪ সালে তিনি ভারতরত্ন পুরস্কার পান।
প্রথম জীবনে তিনি মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন এবং পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তিনি খুবই প্রিয় ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর, ছাত্র-ছাত্রীরা তার জন্মদিন উদযাপনের জন্য আবদার করলে, তিনি প্রস্তাব দেন যে তার জন্মদিনটি সকল শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হোক। সেই থেকেই ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে।
 
প্রতিটি মানুষের জীবনে বিদ্যালয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আর বিদ্যালয়ের ভিত্তি শিক্ষকদের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরনের ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন। শুধু পুঁথিগত শিক্ষা নয়, শিক্ষকরা বড় হয়ে ওঠার পথ দেখান এবং ভদ্রতা, শিষ্টাচার, ও সৌজন্যবোধের শিক্ষা প্রদান করেন।
আমাদের শৈশব ও যৌবনের অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে কাটে। তাই বিদ্যালয় আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে ওঠে, এবং সেই বাড়ির অভিভাবক হলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
 
বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস উদযাপন
প্রতি বছর বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস আনন্দের সাথে উদযাপিত হয়। এই দিনে বিদ্যালয়গুলোতে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। তবে এই আমেজ অন্যান্য উৎসবের চেয়ে ভিন্ন। এটি যেন সরাসরি সরস্বতী পূজার মতো এক পবিত্র উৎসব।
শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাদের জীবনের প্রকৃত ঈশ্বর, যাদের অবদান আমরা কখনও ভুলতে পারব না। শিক্ষার সাথে যুক্ত কলম, ডায়েরি, বই—এগুলো আমরা প্রতি বছর শিক্ষকদের উপহার হিসেবে দিই এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি শুভেচ্ছা কার্ডের মাধ্যমে।
এই দিনে সত্যি বলতে পড়াশুনার চেয়ে বেশি ভালো লাগে শিক্ষকদের সাথে গল্প করতে, তাদের জীবন কাহিনী শুনতে, এবং তাদের ছাত্রজীবনের গল্প শুনতে।
 
শিক্ষকদের প্রতি যে ভয় আমরা সাধারণত অনুভব করি, শিক্ষক দিবসে তা থাকে না। এই দিনটিতে সবাইকে ভালোবাসা আর সম্মানের অনুভূতিতে ভরিয়ে তোলে। আমরা সবাই মিলে শিক্ষকদের প্রণাম করতে যাই এবং তাদের উপহার দিই। শিক্ষকরাও মিষ্টির ব্যবস্থা করেন।
প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকরা ঢোকার সাথে সাথেই আমরা আবদার করি যাতে তারা আজকের দিনটি না পড়ান। আমরা পড়াশুনা থেকে ছুটি নিয়ে এই দিনটি উপভোগ করি। একবার এক বিশেষ শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেলেন, যিনি অন্য সবার থেকে আলাদা। তার ক্লাসে কখনোই ছুটি পাওয়া যায় না।
তিনি বলতেন, “একজন শিক্ষকের সবচেয়ে বড় উপহার তখনই যখন তিনি এমনভাবে পড়াবেন যে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী সেই পড়া বুঝতে পারবে। একজন শিক্ষকের সবচেয়ে বড় পুরস্কার তার ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো রেজাল্ট করে ভালো চাকরি পাবে।”
এমন একজন শিক্ষক পেলে জীবন সত্যিই ধন্য মনে হয়। এই ধরনের শিক্ষকদের জন্য অনেকের জীবন বদলে যায়। লাস্ট বেঞ্চে বসা ছেলেটি আজ ফার্স্ট বেঞ্চে বসে সেরা রেজাল্ট করছে।
আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি এমন শিক্ষকদের পেয়ে। শিক্ষকেরা জীবনের ভিত্তিকে মজবুত করে তোলে। বাবা-মা প্রথম শিক্ষক হলেও, যৌবনের প্রধান অভিভাবক এই শিক্ষকরাই।
উপসংহার
সরস্বতী পূজায় পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আনন্দের মতোই শিক্ষকদের প্রণাম করে আশীর্বাদ নেওয়ার মধ্যে এক অদ্ভুত শান্তি পাওয়া যায়। মনে হয় যেন মাথার উপর একটি শক্তিশালী ছাদ আছে। মনে হয় আমি কোনো ভুল করতেই পারি না, কারণ আমার শিক্ষকরা আমার ভুল ধরিয়ে দিয়ে আমাকে সঠিক পথে নিয়ে যাবেন। তাই প্রতি বছর আমি এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি।
ছোটবেলায় ঠাকুমার কাছে রূপকথার গল্প শুনে যেমন আনন্দ পেতাম, তেমনি শিক্ষকদের সাথে তাদের ছাত্রজীবনের গল্প শুনেও সেই একই আনন্দ পাই। তাই শিক্ষক দিবস অন্যান্য উৎসবের মতোই আমার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
যদি তোমাদের পরীক্ষায় শিক্ষক দিবস রচনা ৭০০ শব্দের মধ্যে লিখতে হয়, তাহলে পুরোটা লিখো। কিন্তু ক্লাস ৪ বা ৫ এ যদি ৩০০ বা ৪০০ শব্দের মধ্যে লিখতে হয়, তাহলে সব শিরোনামগুলো রেখো, তবে প্রতিটি শিরোনামের অধীনে কয়েকটি প্যারাগ্রাফ বাদ দিয়ে লেখো।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top