" "

Dream BPT

Table of Contents

ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল: তারিখ, অর্থ কি, পালন করা কি জায়েজ, কেন পালিত হয়

ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল

ঈদে মিলাদুন্নবী, ঈদে মিলাদুন্নবী কি, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী, জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী, ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ কি,  ঈদ ই মিলাদুন্নবী কি, ঈদ ই মিলাদুন্নবী, পবিত্র ঈদ ই মিলাদুন্নবী, ঈদ ই মিলাদুন্নবী বলতে কি বুঝ

“ঈদ” শব্দটি আক্ষরিক অর্থে খুশি হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দের উৎসব—এগুলোই উঠে আসে। আর “মিলাদুন্নবী” বলতে প্রিয় নবীজীর আগমনকেই বোঝায়। তাই “ঈদে মিলাদুন্নবী” মানে হলো নবীজীর আগমনে খুশি উদযাপন করা। এটা ঠিক যেমন কোনো প্রিয় মানুষ অনেক দিন পর ফিরে এলে যে আনন্দটা আমাদের মনে জাগে—তেমনই। আমি নিজেও যখন ঈদে মিলাদুন্নবীর কথা ভাবি, নবীজীর আগমনকে কেন্দ্র করে যে ভালোবাসা আর শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা আমাকে ভাবায়। সহজভাবে বললে, মিলাদুন্নবী মানেই হচ্ছে নবী (সা.)-এর জন্মের বা পৃথিবীতে আগমনের আনন্দ।

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ, ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪, ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ কত তারিখ, জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪, ঈদে মিলাদুন্নবী কবে, ঈদ ই মিলাদুন্নবী ২০২৪,  ঈদ ই মিলাদুন্নবী ২০২৪

ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২৪ সালের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছে।

ঈদে মিলাদুন্নবীর দলিল

যখন আমি ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) নিয়ে ভাবি, তখন এটা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করে যে কিভাবে এই দিনটি সারা বিশ্বের লাখ লাখ মুসলিমকে একটি সময়ের মধ্যে স্মরণ ও উদযাপনে একত্রিত করে। যদিও কুরআনে সরাসরি নবীজির (সাঃ) জন্মদিন পালনের কথা বলা নেই, তবুও এমন কিছু শক্তিশালী ইঙ্গিত রয়েছে যা অনেকের কাছে এই উদযাপনকে অর্থবহ করে তোলে।
উদাহরণস্বরূপ, সূরা ইউনুস (১০:৫৮)-এ আল্লাহ বলেছেন, “আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে আনন্দিত হও।” আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, নবীজি (সাঃ) হলেন সেই রহমত, যিনি আমাদের জীবনে আল্লাহর দয়া ও করুণা নিয়ে এসেছেন।
আবার, নবীজি (সাঃ) নিজেও বলেছেন যে তিনি সোমবার জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এবং সেই কারণে তিনি সোমবার রোজা রাখতেন। তিনি বলেছিলেন, “এই দিনেই আমাকে জন্ম দেয়া হয়েছে এবং এই দিনেই আমাকে নবুওত প্রদান করা হয়েছে।” (সহিহ মুসলিম)
আমি যখন এই হাদিসটি পড়ি, তখন আমি ভাবি, নবীজি (সাঃ)-এর জীবনের প্রতিটি অংশই আমাদের জন্য শিক্ষার উৎস। তাঁর জন্মদিন পালন মানে শুধু আনন্দ করা নয়, বরং তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন একটি সুযোগ, যেখানে আমরা তাঁর জীবনের দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জীবনে তা বাস্তবায়িত করতে পারি।

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ

ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালন করা নিয়ে ইসলামী পণ্ডিতদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন এটি জায়েজ, আবার অন্যরা মনে করেন এটি করা উচিত নয়। আমি নিজেও এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি, তাই আমি দুই দিকের কিছু মূল বক্তব্য শেয়ার করতে চাই।

যে পণ্ডিতেরা জায়েজ মনে করেন:

অনেক আলেম মনে করেন যে, ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা জায়েজ। তারা যুক্তি দেন, মহানবী (সাঃ)-এর জন্মদিন উদযাপন করার মাধ্যমে আমরা তাঁর জীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারি এবং তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। উদাহরণ হিসেবে, তারা সূরা ইউনুসের ১০:৫৮ আয়াত উল্লেখ করেন, যেখানে আল্লাহ বলেন, “আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে আনন্দিত হও।” এই “রহমত” নবীজি (সাঃ)-কে নির্দেশ করে বলে তারা মনে করেন। তারা এটাকে একটি সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন হিসেবে দেখেন।

যে পণ্ডিতেরা জায়েজ মনে করেন না:

অন্যদিকে, কিছু আলেম মনে করেন যে, ইসলামিক শরিয়াহ অনুসারে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করার কোনো প্রমাণ নেই এবং এটা বিদআত (ধর্মে নতুন কিছু সংযোজন)। তারা মনে করেন, ইসলামে উদযাপনের জন্য দুইটি উৎসব (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা) নির্ধারিত আছে, এবং নবীজির (সাঃ) সাহাবীরা কখনো তাঁর জন্মদিন উদযাপন করেননি। তাই এই উদযাপন থেকে বিরত থাকা উচিত বলে তারা মনে করেন।
আমার অভিজ্ঞতা:
আমি মনে করি, এখানে মূল বিষয় হলো মনের নিয়ত এবং পদ্ধতি। উদযাপন যদি হয় নবীজির জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আল্লাহর দিকে আরও মনোনিবেশ করা, তাহলে সেটি একটি ভালো কাজ। কিন্তু আমরা যদি শুধু সামাজিক উৎসবের দৃষ্টিকোণ থেকে এই দিনটি উদযাপন করি এবং প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণে ব্যর্থ হই, তবে হয়তো উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছি।
তাই ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের ক্ষেত্রে আপনার নিজের ধর্মীয় মত অনুসরণ করা উচিত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে যে কোন ইবাদতই গুরুত্বপূর্ণ।

ঈদে মিলাদুন্নবী কেন পালিত হয়

ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন করা হয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্মদিন স্মরণ করে। তবে, এটি শুধু জন্মদিন উদযাপনের জন্য নয়। বরং এটি সেই দিন, যেদিন আমরা নবীজির (সাঃ) জীবন, তাঁর শিক্ষা, এবং আচরণকে আরও একবার মনে করি। আমার কাছে, এই দিনটি শুধু শ্রদ্ধা নিবেদনের নয়, বরং নবীজির (সাঃ) আদর্শ অনুসরণের একটা সুযোগও বটে।
 
মূলত, ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো মহানবী (সাঃ)-এর জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। তাঁর ইসলামী আদর্শ, মানবিকতা, এবং সততার গুণাবলী আমাদের জীবনে বাস্তবায়িত করা। মুসলিমদের বিশ্বাস, নবীজি (সাঃ)-এর জন্ম ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য এক অশেষ রহমত। উদযাপনের মুল চিন্তাটি এখানেই যে, তাঁর জীবন ও শিক্ষা আমাদের আল্লাহর পথে চলার জন্য পথপ্রদর্শক।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top